October 27, 2024, 2:19 am
মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, ধামাচাপা দিতে ইমাম জামাল উদ্দিনের ব্যর্থ চেষ্টা।
ডেক্সঃ রাজধানীর দক্ষিণখান থানা সংলগ্ন মাদরাসাতুল মদিনা আল ইসলামিয়া’র হেফজ বিভাগের ১৭ পারা হাফেজ শিক্ষার্থীকে বলাৎকার শেষে পায়ু পথে ব্রাশ ঢোকানের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছেন নুর মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিন, অভিযোগ স্বজনের।
উক্ত মাদরাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীর বাবা মুকুল জানান, গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক পাঁচ টার দিকে মাদরাসার একটি কক্ষে আমার ছেলেকে বলাৎকার শেষে পায়ু পথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপর আমার স্ত্রীকে ফোনে জানানো হয় যে, আপনার ছেলে অসুস্থ, তাড়াতাড়ি মাদরাসায় আসেন। আমার স্ত্রী মাদ্রাসায় গিয়ে দেখে বাথরুমের ভেতর আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে এবং পায়ুপথে বাথরুম পরিস্কারের ব্রাশ ঢোকানো। আমার স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মেডিকেলে নিতে চাইলে প্রিন্সিপাল হুজুর মাদ্রাসার বদনাম হবে এমন অযুহাত দিয়ে মেডিকেলে নিতে বাধা দেন। তখন আমার স্ত্রীকে একটি কক্ষে আটক রেখে তিন চার জন মিলে টেনে ব্রাশ টি বের করে। এসময় প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে নিকটবর্তী আর্ক হাসপাতালে নিলে ডাক্তার রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল নেবার পরামর্শ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল নিলে ইমারজেন্সী তার পায়ু পথে অস্ত্রপচার করা হয় এবং ১২ দিন ভর্তি রেখে চিকিৎসা শেষে মল বের হবার জন্য পেট ছিদ্র করে আলাদা নালি করে দেয়া হয় এবং বাহিরে ব্যাগে মল যাবার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমান তার অবস্থা আরো আশংকা জনক। বিষয়টি নিয়ে যেন মামলা না হয় এজন্য স্থানীয় নুর মসজিদের ইমাম ও উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক জামাল উদ্দিন নিজেকে সিরাত কমিটির নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে এবং বলে মামলা করার দরকার নাই, আমি দেখছি। এছাড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাকসুদুল আমিন আমার ঘরে এসে চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকা দেন এবং মামলা না করার জন্য বলে যান। আমি টাকা নিতে চাইনি।
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দূর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কমকে জানান, আমি বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত না। আমার কাছে ছাত্রের বাবা এসেছিল তাই আমি তাকে ফোন করে বলেছিলাম।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাকসুদুল আমিন বলেন, বলাৎকার হয়নি, আপনি ভুল শুনেছেন। আর ব্রাশ সে নিজেই নিজের পায়ুপথে ঢুকিয়েছে।
এঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে ৮ মে রবিবার মামলা দিয়েছে দক্ষিণখান থানায়। মামলা নং-৫।
স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উক্ত মাদ্রাসায় ইতিপুর্বেও বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে যা ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছেন কতৃপক্ষ। এ ব্যাপারে এলাকায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
